

মৃত্যুর সংবাদে পুরো মিডিয়া যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়, যখন ক্রমশ সবাই জমাটবদ্ধ হচ্ছিলেন মৃত হুমায়ুন ফরীদির নিথর শয্যাপাশে, যখন এক আঙ্গিনায় বিলাপমুখর শতাধিক সতীর্থ, ঠিক সে সময় অনেকেই মনে মনে খুঁজছিলেন ফরীদির বর্ণাঢ্য জীবনের দীর্ঘ সহযাত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকে। যিনি ২০০৮ সালে হুমায়ুন ফরীদিকে ছিন্নপত্র দিয়ে হাত ধরেছিলেন তরুণ নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের। অনেকেই ভেবেছিলেন ফরীদির শেষ প্রস্থানেও হয়তো আসবেন না সুবর্ণা মুস্তাফা। সুবর্ণার সেই মুখটাইবা কোথায়? এমন বিবেচনায় কেউ সে অর্থে প্রত্যাশাও করেনি সুবর্ণার উপস্থিতি। তবুও সবাইকে চমকে দিয়ে শেষতক তিনি এলেন। অশ্রুসিক্ত নয়নে। ধানমন্ডির বাসায়। হুমায়ুন ফরীদির এই নীরব প্রস্থানের অন্যতম কারণ হিসেবে নিকটজনরা দেখছেন সুবর্ণাহীন তার একাকীত্বকে। এদিকে গতকাল বেলা একটার দিকে যখন স্বামী সৌদকে নিয়ে ধানমন্ডির সেই বাড়িতে আসেন, ফরীদিকে শেষ দেখাটাও দেখতে পেলেন না তিনি। কারণ, সুবর্ণা আসার ঠিক ১০ মিনিট আগেই হুমায়ুন ফরীদির নিথর দেহ এম্বুলেন্সযোগে নিয়ে যাওয়া হলো বিটিভি’র উদ্দেশ্যে। সুবর্ণার কাঁদো কণ্ঠে আক্ষেপ, আরও কিছুক্ষণ কেন রাখা হলো না! কেন এমন তড়িঘড়ি করে নিয়ে যাওয়া হলো? সুবর্ণার এমন আক্ষেপ আর কান্নার উত্তর উপস্থিত কারও কাছে ছিল না।
ref:www.mzamin.com